অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আফ্রিকার নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য বিনামূল্যের সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই খাদ্যশস্য তিনি আফ্রিকার দেশগুলোকে সরবরাহ করবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতারা অংশ নেন। রাশিয়ার সঙ্গে আফ্রিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, তার দেশ চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণে খাদ্যশস্য তুলতে পারবে এবং ইউক্রেনের বদলে তার দেশ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এবং সাহায্য হিসেবে এই খাদ্যশস্য আফ্রিকার দেশগুলোকে সরবরাহ করবে। আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে রাশিয়ার যে দায়িত্ব রয়েছে এর মধ্য দিয়ে মস্কো তা পালন করতে চায়।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, “আমরা আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বুরকিনা ফাসো, জিম্বাবুয়ে, মালি, সোমালিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র এবং ইরিত্রিয়াকে ২৫ হতে ৫০ হাজার টন করে খাদ্যশস্য বিনামূল্যে সরবরাহ করব। এছাড়া, এই খাদ্যশস্য গ্রাহকদের হাতে বিনামূল্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব।”
গত বছর রাশিয়া ছয় কোটি টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করেছিল যার মধ্যে চার কোটি আশি লাখ টন গম ছিল।
কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে আসার বিষয়ে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো যে সমালোচনা করছে তার জবাবে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, চুক্তি অনুসারে রাশিয়ার খাদ্যশস্য এবং কৃষিপণ্য রপ্তানির যে সুযোগ দেয়ার কথা ছিল তা পূরণ করা হয়নি। এছাড়া, ইউক্রেন থেকে শতকরা সত্তর ভাগের বেশি খাদ্যশস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ধনী দেশগুলোতে অথবা মধ্য আয়ের দেশগুলোতে পাঠানো হয়েছে, আফ্রিকার গরিব দেশগুলোকে দেয়া হয়নি।
প্রেসিডেন্ট পুতিন আরো বলেন, তার দেশের ওপর আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে গরিব দেশগুলোকে বিনামূল্যের সার সরবরাহের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের দ্বৈত অবস্থান ফুটে উঠেছে। একদিকে তারা রাশিয়ার খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে বিশ্ববাজারে বর্তমান খাদ্য সংকটের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করছে।
https://twitter.com/i/status/1684531594277654529
Leave a Reply